উপমহাদেশের প্রাচীনতম ইসলামী সংগঠন জমিয়ত। জমিয়ত প্রতিষ্ঠালগ্ন থেকে এযাবতকাল পর্যন্ত দেশ,জাতি ও ইসলামের কল্যাণে কাজ করে যাচ্ছে। চলমান প্রবন্ধে জমিয়ত কী ও কেন? সে সম্পর্কে সংক্ষিপ্তাকারে আলোকপাত করা হল।
বহমান প্রবন্ধের দু'টি অংশের প্রথমাংশ হল- জমিয়ত কী? শুরুতেই জমিয়ত কী অংশের সংক্ষিপ্ত বিশ্লেষণ তোলে ধরছি। জমিয়ত শব্দটি جمع থেকে গৃহীত হয়েছে। যা বাবে فتح ওافعال, افتعال, تعفیل থেকে আসে। যার অর্থ হল- একত্রিত হওয়া, জমা করা, সংঘবদ্ধ হওয়া এবং ঐক্যবদ্ধ প্লাটফরম। المعجم الرائد নামক আরবী অভিধানে জমিয়ত এর সংজ্ঞা দেওয়া হয়েছে এভাবে -
جماعة من الناس يجتمعون لغاية خاصة أو على فكرة مشتركة
অর্থাৎ, নির্দিষ্ট মানুষের ঐক্যবদ্ধ সংঘ বা সংস্থা। যারা বিশেষ একটি উদ্দেশে কিংবা পারস্পরিক চিন্তাধারা বিকাশের নিমিত্তে ঐক্যবদ্ধ হয়েছেন।
মূলত জমিয়ত সংগঠনের নামটি মুরাক্কাব। জমিয়ত এবং উলামা শব্দের সমন্বয়ে যৌগিক বাক্যে রূপ হল - جمعیة العلماء। علماء শব্দটি عالم ইসমের জমা। শব্দটি سمع یسمع এর মাসদার علما থেকে নেওয়া হয়েছে। অতএব যৌগিক রূপদানের পর এর অর্থ দাঁড়ায় -উলামাদের ঐক্যবদ্ধ প্লাটফরম। তবে এখানে একটি مضاف উহ্য ধরে নিলে জমিয়তের লক্ষ্যের সাথে সঙ্গতিপূর্ণ হয়ে যাবে । তাই মূল বাক্য হবে الجمعیة تحت قیادة العلماء এর অর্থ হল- আলিমদের নেতৃত্বে পরিচালিত ঐক্যবদ্ধ প্লাটফরম।
শব্দগত বিশ্লেষণের পর অর্থ হবে- আলেমদের নেতৃত্ব পরিচালিত সংগঠনই হল জমিয়ত। কাজেই আলেমদের নেতৃত্বাধীন আলেম, ছাত্র, শিক্ষক, জেনারেল শিক্ষিত, বাতিল মতাদর্শী এবং বিভিন্ন শ্রেণী-পেশার মানুষ কাজ করতে পারবে। আর বিষয়টি অতি স্পষ্ট। আমরা যদি জমিয়ত গঠনের ইতিহাস সম্পর্কে অবহিত হই, তাহলে বিষয়টি আরও পরিষ্কার হয়ে যাবে।
আমরা জানি ব্রিটিশরা ভারত উপমহাদেশকে দখল করেছিল। যদিও ব্রিটিশের পূর্বে ভারত উপমহাদেশকে মুসলমানরাই শাসন করেছিল। ১৭৫৭ থেকে ১৯৪৭ সাল পর্যন্ত ১৯০ বছর ভারতবর্ষ বৃটিশের দখলে ছিল। ১৮৫৭ সালের সিপাহী বিপ্লবে উলামায়ে কেরাম বৃটিশের হাতে সূচনীয়ভাবে পরাজয় বরণের পর বৃটিশরা আলেমদের ওপর আরও বেশি খেপেছিল। কলকাতা থেকে পেশাওয়ার পর্যন্ত শেরশাহ সূরির গ্রান্ড ট্রাংক রোডের দুই পাশের এমন কোনো গাছ ছিল না যাতে কোনো এক আলেমকে ঝুলানো হয়নি। অবেশেষে বৃটিশের হাত থেকে মুক্তি এবং একদল মুক্তি বাহিনী গঠনের লক্ষ্যে ১৮৬৬ সালে কাসেম নানুতবী, রশীদ আহমদ গাঙ্গুহী রহ. এর মতো কিছু বিচক্ষণ উলামায়ে কেরাম দারুল উলূম দেওবন্দ প্রতিষ্ঠা করেন। একই উদ্দেশে শায়খুল হিন্দ রহ. ১৮৭৮ সালে সামারাতুত তারবিয়্যাহ নামে এবং ১৯০৯ সালে দারুল উলূম দেওবন্দের প্রাক্তন ছাত্রদের নিয়ে গঠন করেন জমিয়তুল আনসার। ১৯১৪ সালে প্রথম বিশ্বযুদ্ধ শুরু হয়। তুরস্কের ইসলামি খেলাফত চূর্ণবিচূর্ণ হয়ে যায়। ভারত জুড়ে আনন্দ মিছিল শুকরিয়া মাহফিল চলতে থাকে। এহেন পরিস্থিতিতে মাও. মুহাম্মদ জওহর এর নেতৃত্বে গঠিত হয় খেলাফত আন্দোলন। অবশেষে ১৯১৯ সালে দিল্লিতে খেলাফত কনফারেন্স অনুষ্ঠিত হয়। সভায় উপস্থিত ছিলেন শেরে বাংলা একে ফজলুল হক, মাও. মুহাম্মদ আলী, মুফতি কেফায়াতুল্লাহ, মাও. হারসত আলী মুহানী, মাও. আব্দুল বারী ফেরেঙ্গী মহল্লী, ছানাউল্লাহ অমৃতসারী, মাও. আকরাম খাঁ, মাও. মুনিরুজ্জামান ইসলামাবাদী , মাও.আহমদ সাঈদ দেহলবী রহ. সহ প্রমুখ উলামায়ে কেরাম। সভায় সিদ্ধান্ত হয়- খুনী সন্ত্রাসী অবৈধ দখলদার সরকারের শুকরিয়া মাহফিলে অংশগ্রহণ করা যাবে না এবং বিজয় দিবস পালিত হবে না। সভাটি ২৪ নম্ভেম্বর পর্যন্ত চলতে থাকে। সভায় সভাপতিত্ব করেন মাও. আব্দুল বারী ফেরেঙ্গী মহল্লী রহ.। এই সভায় বহু পর্যালোচনার পর সর্বসম্মতিক্রমে স্বাধীনতা অর্জন এবং তুরস্কের খেলাফত রক্ষার লক্ষ্যে একটি দ্বীনী সংগঠন গঠন করা হয় এবং জমিয়তে উলামায়ে হিন্দ নামে এর নামকরণ করা হয়। মাও. মুফতী কেফায়াতুল্লাহ এবং মাও. আকরাম খাঁকে জমিয়তের সংবিধান রচনার দায়িত্ব দেওয়া হয়।
লক্ষণীয় বিষয় হল- জমিয়তের সভায় নেতৃত্বদানকারী মাও. মুনিরুজ্জামান ইসলামাবাদী রহ.(জন্ম ১৮৭৫ মৃত্যু ১৯৫০) যিনি জমিয়তের গঠনের উদ্যোক্তাদের একজন। যাকে আল্লামা মুহি উদ্দীন খান রহ. জীবনের খেলাঘরে আহলে হাদীস মসলকের লোক বলে অবিহিত করেছেন। এদিকে মাও. আকরাম খাঁ (জন্ম ১৮৫৩ মৃত্যু ১৯৬৮) যিনি উঁচু মানের বাংলা সাহিত্যিক ছিলেন। যাকে মুসলিম সাংবাদিকতার জনক বলা হয়। তিনি নবীদের মুযেজা ও ওলীদের কারামাতকে অস্বীকার করতেন। যা তার রচিত "মোস্তফা চরিত" বইটি পড়লে বোঝা যায়। অথচ মাও. আকরাম খাঁ এবং মুফতি কেফায়াতুল্লাহই হলেন জমিয়তের প্রথম গঠনতন্ত্র রচয়িতা।
বোঝা গেল, আলেমদের নেতৃত্বাধীন সংগঠন জমিয়তে লা মাজহাবী, বাতিল মতাদর্শের অধিকারী, কৃষক-শ্রমিক, ব্যবসায়ী,সরকারী কর্মচারীরাও থাকতে পারে। আর থাকাটাই বাঞ্চনীয়। তাছাড়া সকলেরই জানা, সিলেটের অন্যতম এক পরিচিত ব্যক্তিত্ব মাও. আব্দুল লতিফ ফুলতুলি রহ. ও একসময় জমিয়ত করতেন।
জমিয়ত কেন?
জমিয়ত কেন ? এই প্রশ্নের উত্তর জমিয়তের ইতিহাস ও লক্ষ্যকে সামনে রাখলে অতি সহজে বিষয়টি প্রতিভাত হবে।
এক. জমিয়ত মানবতার মুক্তির পক্ষের শক্তি। সংগঠনটির আত্মপ্রকাশ হয়েছিল ভারতবর্ষের স্বাধীনতা ফিরিয়ে আনা এবং ইসলামি খেলাফতকে পুনরুদ্ধার করার নিমিত্তে। জমিয়ত আন্দোলন করার ফলে ভারতবর্ষে স্বাধীনতার সূর্য উদিত হয়।
এ প্রসঙ্গে দারুল উলূম দেওবন্দের প্রাক্তন মুহতামিম কারী তায়্যিব রহ. বলেন,
آزادي وطن کی تحریک اٹہی تو علماء دیوبند نے حضرت مفتی کفایت اللہ ؒ کی قیادت میں جمعیت علماء قائم کرکے شانہ بشانہ آزادی لڑی۔ ( دینی روخ اور مسلکی مزاج ص۔١٧٥)
অর্থাৎ, আযাদী আন্দোলন শুরু হল। উলামায়ে দেওবন্দ হযরত মুফতি কেফায়াতুল্লাহ রহ. এর নেতৃত্বে জমিয়ত প্রতিষ্ঠা করে আযাদি আন্দোলনে ঝাঁপিয়ে পড়েন।
সায়্যিদ মাহমুদ রিজভী লিখেন
سنہ ١٩٢٠ میں مالٹا سے رہای کے بعد حضرت شیخ الہند جمعیت العلما۶ میں شامل ہوگے جیسے ان کے تلامذہ نے سنہ ١٩١٩ میں تحریک ازادی کو فروغ دینے کے لے قائم کیا تہا۔
১৯২০ সালে শায়খুল হিন্দ রহ. মাল্টা থেকে মুক্তিলাভের পর জমিয়তে উলামায়ে হিন্দে যোগদান করেন। ১৯১৯ সালে স্বাধীনতার সংগ্রামকে দ্রুততর ও তীব্রতর করার লক্ষ্যে শায়খুল হিন্দের ছাত্ররা এই সংগঠনের আত্মপ্রকাশ ঘটান।
(তারিখে দারুল উলূম দেওবন্দ ৫১১)
দুই. জমিয়ত এজন্য যে, জমিয়ত মজলুম মানবতার পক্ষের শক্তি। জমিয়ত সবসময়ে সকল মজলুমের পক্ষে দাঁড়িয়েছে। বাংলাদেশের স্বাধীনতার সময় তৎকালীন জমিয়তে উলামায়ে হিন্দের সভাপতি সায়্যিদ আসআদ মাদানী রাহ. স্বাধীনতাকামী মানুষের পক্ষে কাজ করেছেন। হাজার হাজার আশ্রিত মানুষের সেবা করেছেন। পাকিস্তান ও ব্রিটিশ বাহিনীকে কড়া হুঁশিয়ারি দিয়েছেন।
মজলুম নির্যাতিত, অধিকার বঞ্চিত মানুষের পক্ষে পাকিস্তানি হয়েও লড়াই করেছেন মুফতি মাহমুদ রহ.। ফিলিস্তিন, কাশ্মীর, মায়ানমার, ইরাক আফগানিস্তানসহ গোটা বিশ্বের মজলুমানদের পক্ষে জমিয়ত সরব ভূমিকা পালন করছে। জমিয়ত নেতা মাও. ফজলুর রহমান, পাকিস্তান জমিয়ত এবং বাংলাদেশ জমিয়ত আফগানের মুজাহিদদের স্বাধীনকামী বলে স্বীকৃতি দিয়েছে। আমীরুল হিন্দ সায়্যিদ আরশাদ মাদানী দা. বা. ও আফগানিদের পক্ষে সরাসরি কথা বলছেন। জমিয়ত মজলুমের পক্ষে লড়াই করাকে নিজেদের দায়িত্ব মনে করে। কারণ এগুলো রাসুল সা. এর চরিত্র। ওহী প্রাপ্তির পর রাসুল সা. বিচলিত হয়ে গিয়েছিলেন। হযরত খাদিজা রা. রাসুল সা.কে শান্তনা দিয়েছেন। বুখারী শরীফে হযরত আয়শা রা. থেকে বর্ণিত দির্ঘ হাদীসে এসেছে
" . قَالَتْ لَهُ خَدِيجَةُ كَلاَّ وَاللَّهِ لاَ يُخْزِيكَ اللَّهُ أَبَدًا إِنَّكَ لَتَصِلُ الرَّحِمَ وَتَحْمِلُ الْكَلَّ وَتَكْسِبُ الْمَعْدُومَ وَتَقْرِي الضَّيْفَ وَتُعِينُ عَلَى نَوَائِبِ الْحَقِّ .
কখনও না, আল্লাহ আপনাকে অপমানিত করবেন না। নিশ্চয় আপনি আত্মীয়তার বন্ধন অটুট রাখেন এবং অসহায়দের বোঝা বহন করেন। ঘর বাড়ীহীন অক্ষমদের জন্য উপার্জন করেন। মেহমানদের সম্মান করেন। বিপদগ্রস্তদের সহায়তা করেন।
বুখারী শরীফের অন্য হাদীসে এসেছে
عن أنس بن مالك رضي الله عنه-مرفوعاً: «انْصُرْ أخاك ظالمًا أو مظلومًا» فقال رجل: يا رسول الله، أَنْصُرُهُ إذا كان مظلومًا، أرأيت إِنْ كان ظالمًا كيف أَنْصُرُهُ؟ قال: «تَحْجِزُهُ -أو تمْنَعُهُ- من الظلم فإنَّ ذلك نَصْرُهُ».
রাসুল সা. বলেন, তুমি তোমার ভাইকে মজলুম অবস্থায় এবং জালিম অবস্থায় সাহায্য করো। এক ব্যক্তি বললেন, হে আল্লাহর রাসুল! সে যদি মজলুম হয় তাহলে তো তাকে সাহায্য করবোই। কিন্তু সে যদি জালিম হয় তাহলে তাকে কিভাবে সাহায্য করবো? প্রতি উত্তরে রাসুল সা. বললেন, তুমি তাকে জুলুম থেকে বিরত রাখবে অথবা বাধা প্রদান করবে। এটাই জালেমের জন্য সহায়তা।
অন্য হাদীসে এসেছে
وعن أَبي عُمارة الْبراءِ بنِ عازبٍ رضي اللَّه عنهما قَالَ: "أَمرنا رسولُ اللَّه ﷺ بِسبْعٍ، ونهانا عن سبعٍ: أَمرنَا بِعِيادة الْمرِيضِ، وَاتِّبَاعِ الْجنازةِ، وتَشْمِيتِ الْعاطِس، وَإِبْرارِ الْمُقْسِمِ، ونَصْرِ المَظْلُومِ، وَإِجابَةِ الدَّاعِي، وإِفْشاءِ السَّلامِ. وَنَهانَا عَنْ خواتِيمَ –أَوْ: تَختُّمٍ بالذَّهبِ- وَعنْ شُرْبٍ بالفضَّةِ، وعَنِ المَياثِرِ الحُمْرِ، وَعَنِ الْقَسِّيِّ، وَعَنْ لُبْسِ الحَرِيرِ وَالإِسْتَبْرَقِ وَالدِّيبَاجِ"( مُتَّفَقٌ عليه)
অত্র হাদীসে রাসুল সা. সাতটি বিষয়ের আদেশ করেছেন। তন্মধ্যে একটি হল- মজলুমকে সহায়তা করা।
তিন. জমিয়ত এজন্য যে, জমিয়ত আল্লাহর জমিনে আল্লাহর দ্বীন কায়েম করার লক্ষ্যে কাজ করে আসছে। কারণ ইসলাম হল পূর্ণাঙ্গ দ্বীন । আল্লাহর মনোনীত ধর্ম। ইসলাম ছাড়া অন্য কোনো তন্ত্রে-মন্ত্রে মানুষের কল্যাণ নেই।
আল্লাহ বলেন-
ان الدین عند الله الاسلام
নিশ্চয় ইসলাম আল্লাহর মনোনীত ধর্ম। (আলে ইমরান-১৯)
অন্য আয়াতে আল্লাহ বলেন-
وَمَنْ يَبْتَغِ غَيْرَ الإِسْلامِ دِينًا فَلَنْ يُقْبَلَ مِنْهُ وَهُوَ فِي الآخِرَةِ مِنَ الْخَاسِرِينَ
অর্থাৎ, যে ইসলাম ব্যতীত অন্য কোনো ধর্মে (শান্তি ও হেদায়াতের) অন্বেষণ করবে তা গ্রহণ করা হবে না। বরং সে পরকালে হবে ক্ষতিগ্রস্তদের অন্তর্ভুক্ত (সুরা-আলে ইমরান ৮৫)
চার. জমিয়ত জাতিকে ঐক্যবদ্ধ প্লাটফরমে নিয়ে আসার জন্য নিরলসভাবে কাজ করে যাচ্ছে। কারণ একতাই মহা বল। এজন্য আল্লাহ বলেন,وَٱعْتَصِمُواْ بحبل ٱللَّهِ جَمِيعًا وَلَا تَفَرَّقُواْ অর্থাৎ, তোমরা আল্লাহর রজ্জুকে ঐক্যবদ্ধভাবে আঁকড়ে ধরো, বিচ্ছিন্ন হয়ো না।
পাঁচ. বাতিল ফির্কার মোকাবেলায় জমিয়ত যুগে যুগে নজির স্থাপন করেছে।
কেননা হাদীসে বাতিল ফির্কাগুলোকে প্রত্যাখান করা হয়েছে। জমিয়তও তাদেরকে প্রত্যাখান করে আসছে। ইবনে মাজাহ শরীফের হাদীসে এসেছে
عن عائشة رضي الله عنها قالت: قال رسول الله صلى الله عليه وسلم: ((من أحدث في أمرنا هذا ما ليس منه، فهو ردٌّ))
অর্থাৎ, যারা আমাদের এই ধর্মে যা স্বীকৃত নয় এমন নতুন কিছু সৃষ্টি করবে তা প্রত্যাখ্যাত।
এজন্য কাদিয়ানীদের রাষ্ট্রীয়ভাবে কাফের ঘোষণার দাবিতে পাকিস্তানে ইউসূফ বানুরী রহ. নেতৃত্বে আন্দোলন হয়েছে। এমন কী শেষপর্যন্ত পাকিস্তানে কাদিয়ানীদের রাষ্ট্রীয়ভাবে কাফের ঘোষণা করা হয়েছে। বাংলাদেশে তাসলিমা নাসরিন বিরোধী আন্দোলন, খতমে নবুওয়াত আন্দোলন, তাবলীগ জামাতের আমীরের ভ্রান্তির ওজাহাত, নাস্তিকবিরোধী আন্দোলন করাসহ সবধরনের ভ্রান্ত মতবাদের মোকাবেলা করে আসছে জমিয়ত। জমিয়ত চায় আল্লাহর দ্বীনকে তাহরিফ থেকে মুক্ত রাখতে। জমিয়ত চায় দ্বীনের খলিস মিশন দুনিয়া জুড়ে ছড়িয়ে দিতে।
অতএব জমিয়ত কী ও কেন? বোঝার জন্য এটুকই যথেষ্ট।