বাংলাদেশের স্বাধীনতা ও সার্বভৌমত্ব বিপন্ন হতে পারে এমন কোন সিদ্ধান্ত জাতির ওপর চাপিয়ে দেয়ার কোন অধিকার অন্তর্বর্তী সরকারের নেই। "রাখাইনে মানবিক করিডোর দিতে সরকার সম্মত" এ রকম খবর সংবাদ মাধ্যমে প্রকাশিত হওয়ার পরপরই গোটা দেশজুড়ে নানা ধরনের উদ্বেগ ও শঙ্কা তৈরি হয়েছে। ভূরাজনৈতিক সুবিধার কারণে কেউ আমাদের কাছে করিডোর চাইল আর আমরা তাতে সম্মতি দিয়ে দিলাম, এটা তো চরম অদূরদর্শী ও আত্মঘাতী সিদ্ধান্তের সামিল। এই সিদ্ধান্তে স্পষ্টতই বাংলাদেশ চরম ঝুঁকিতে পড়বে বলে আমরা মনে করি।
আজ গণমাধ্যমে প্রেরীত এক যৌথ বিবৃতিতে জমিয়তে উলামায়ে ইসলাম বাংলাদেশের সভাপতি মাওলানা উবায়দুল্লাহ ফারুক, সিনিয়র সহ-সভাপতি মাওলানা আব্দুর রব ইউসুফী, মহসচিব মাওলানা মঞ্জুরুল ইসলাম আফেন্দী ও সিনিয়র যুগ্মমহাসচিব মাওলানা বাহাউদ্দীন জাকারিয়া এ সব কথা বলেছেন।
নেতৃবৃন্দ, কক্সবাজার হয়ে যুদ্ধরত মিয়ানমারের রাখাইন রাজ্যে ত্রাণ পৌঁছানোর অজুহাত দেখিয়ে মানবিক করিডোর স্থাপন ইস্যুতে ক্ষোভ প্রকাশ করে বলেন, এ রকম স্পর্শকাতর একটি বিষয়ে সরকার দেশের রাজনৈতিক দলসমূহের সাথে মতবিনিময় করারও কোন প্রয়োজনীয়তা অনুভব করেনি। সঙ্গত কারণে এটি যুক্তরাজ্যের 'বার্মা এ্যাক্ট' এজেণ্ডা বাস্তবায়নের কোন গোপন পরিকল্পনা কি না? তা নিয়ে পর্যবেক্ষক মহলের কেউ কেউ প্রশ্ন তুলছেন। আমরা সরকারকে বলব: দেশবিরোধী কোন প্রকার সিদ্ধান্ত নেওয়া থেকে বিরত থাকুন, নইলে পরিস্থিতি ঘোলাটে হতে পারে।’
পরিচালক : মাওলানা.রুহুল আমীন মাকসুদ
মোবাইল : ০১৭৮৭-১৪৩৯১৫
সম্পাদক : মাওলানা আব্দুল হালিম সাতবাঁকি
মোবাইল : ০১৭১২৩৯৮৯২৬
© সর্বস্বত্ব স্বত্বাধিকার সংরক্ষিত